আমার একটা বিশাল অদ্ভুত কল্পনার জগত আছে। সেই জগতে সবকিছুর হর্তাকর্তা আমি। কখনো সাজিদ হয়ে মানুষকে ফিরিয়ে আনি সঠিক পথে। কখনো হিমু হয়ে পা ভিজিয়ে বসে থাকি ময়ূরাক্ষীর তীরে। শার্লক হোমস হয়ে ভেদ করি রহস্যের দূর্ভেদ্য জাল। কখনো প্রশান্ত মহাসাগরের আলবাট্রস পাখিকে হত্যা করে অভিশাপ প্রাপ্ত হই। সিন্দাবাদ হয়ে ঘুরে বাড়াই দেশ-দেশান্তরে। গালিভার হয়ে ধরা পরি ক্ষুদ্র লিলিপুটদের হাতে। আলিবাবার চল্লিশ চোরের সর্দার হয়েছি অনেকবার, লুটে নিয়েছি মানুষের সর্বস্ব। হাতেমতাই হয়ে দান করে দিয়েছি সবকিছু। আফগানি কাবুলিওয়ালা হয়েছি, ঘুরে বেড়িয়েছি পথে পথে। শঙ্খচিল শালিকের বেশে দেখেছি বাংলার অপরূপ সৌন্দর্য। আফিংখোর কমলাকান্ত হয়েছি দিব্যকর্ণ দিয়ে শুনেছি বিড়ালের উপদেশ। কখনো চালাক বানর হয়ে রুটি ভাগাভাগি করতে আসা ইঁদুরদের ঠকিয়েছি। আবার ধূর্ত শেয়ালের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে কা.. করে গান গাইতে যেয়ে খুয়িয়েছি মাংসের টুকরা। কখনো ছোট্ট টুনটুনি হয়ে রাজার সাথে বড়াই করে নিছক আনন্দে মেতে উঠি আবার শাঁকচুন্নী হয়ে ভর করে বসি গেরস্তের পুত্র বধুর ঘাড়ে। আর যখন ভাল্লাগেনা তখন হাট্টিমাটিম টিম হয়ে পলাশীর মাঠে ডিম পাড়তে থাকি।